রহমত ডেস্ক 13 February, 2022 11:19 PM
সাবেক নির্বাচন কমিশনার-সিইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থায় বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে যে লোকগুলোর প্রয়োজন, তাদেরকে খুঁজে বের করুন। যাদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, সেই সাহস যারা রাখেন, তাদের খুঁজে বের করুন। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মানুষের কোনো বিশ্বাস নেই। বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে যে লোকগুলোর প্রয়োজন, তাদেরকে সার্চ করুন। যাদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, সেই সাহস যারা রাখেন, তাদের খুঁজে বের করুন।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সার্চ কমিটির প্রধান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুছ, লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির, সাবেক অ্যাডিশনাল আইজিপি নুরুল আলম, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, প্রজন্ম৭১-এর আসিফ মুনির, ডা. নুজহাত চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অর্থনীতিবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ।
সাবেক সিইসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যদি স্বাধীন নির্বাচনের কথা বলেন, তাহলে রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব নিতে আপত্তি আছে। কোনো দলের প্রস্তাব আমি নিতে চাই না। কারও নাম প্রস্তাব করিনি। আগামী নির্বাচন যদি আগের মতো হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে- আমরা বিপদের মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। কাজেই রাজনীতির যত খেলাই হোক না কেন, নির্বাচন যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য না হবে দেশে এবং বিদেশে আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে। আগামী নির্বাচন হতে হবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য। আমি বলছি না, শতভাগ গ্রহণযোগ্য হতে হবে। শতভাগ গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচন হয় না। নির্বাচন হতে হবে- যারা ভোট দিচ্ছে, ভোট দিতে পারছে বা ভোট দিতে পারবে, তাদের মতামত যাতে প্রতিফলিত হয়।
তিনি আরো বলেন, সংবিধানে বলা আছে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কথা। সেখানে বলা নেই দলীয়ভিত্তিক নির্বাচন কমিশন হতে হবে। বিশ্বে তিন-চার ধরনের নির্বাচন কমিশন আছে। দলভিত্তিক আছে, সরকারি নির্বাচন কমিশন আছে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে। কোনো দল যদি এখানে নাম দিয়ে থাকে, তিনি যত ভাল ব্যক্তিই হন না কেন, তার গায়ে দলের লেভেল লেগে যাবে। যেটা আমরা গত নির্বাচন কমিশনে দেখেছি। তাহলে কি প্রস্তাবকারী দলের নাম প্রকাশের প্রয়োজন মনে করি। তবে যতগুলো নাম দিয়েছে সবগুলো নাম প্রকাশ করা হোক।